হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গেলে করনীয়

 হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গেলে কিছু কারণে এটি হতে পারে, এবং এর জন্য বিভিন্ন ধরণের ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন হতে পারে। পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার কারণ যেমন শারীরিক, মানসিক বা হরমোনাল পরিবর্তন হতে পারে, এবং এটি যদি স্বাভাবিক কোনো কারণে না হয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। কিছু সাধারণ কারণ এবং করণীয় নিচে দেওয়া হলো:

পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার কিছু সাধারণ কারণ:

  • হরমোনাল পরিবর্তন: অতি বেশি বা কম থাইরয়েড হরমোন, প্রোল্যাকটিনের আধিক্য, বা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS) প্রভাবিত করতে পারে।
  • প্রসব বা গর্ভধারণ: গর্ভধারণের কারণে পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
  • মানসিক চাপ বা উদ্বেগ: মানসিক চাপ বা উদ্বেগের কারণে শারীরিক কিছু পরিবর্তন হতে পারে, যার মধ্যে পিরিয়ড বন্ধ হওয়া অন্যতম।
  • ওজনের তারতম্য: অতিরিক্ত ওজন কমানো বা বাড়ানো পিরিয়ডের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
  • এলডার এজ (বয়স): প্রজনন বয়সের শেষ দিকে (পেরিমেনোপজ) পিরিয়ড বন্ধ হতে শুরু করতে পারে।
  • কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা: ইউটেরাইন বা ডিম্বাশয়ের সমস্যা, কিংবা গাইনোকোলজিক্যাল অসুখেও পিরিয়ড বন্ধ হতে পারে।

করণীয়:

চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ: প্রথমত, একজন গাইনোকোলজিস্টের সাথে পরামর্শ করা উচিত। তিনি আপনার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সঠিক কারণ নির্ধারণ করতে পারবেন।
রক্ত পরীক্ষা ও আলট্রাসনোগ্রাফি: হরমোনের স্তর পরীক্ষা এবং আলট্রাসনোগ্রাফি মাধ্যমে গাইনোকোলজিস্ট সমস্যার কারণ বুঝতে পারবেন।
স্ট্রেস কমানো: মানসিক চাপ কমানো, যেমন যোগব্যায়াম বা মেডিটেশন, পিরিয়ডের সমস্যা সমাধানে সহায়তা করতে পারে।
সঠিক খাদ্যাভ্যাস: সুষম খাদ্য গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা জরুরি।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: পর্যাপ্ত ঘুম, ব্যায়াম, এবং ভালো শারীরিক অবস্থা পিরিয়ড স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

যদি গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে:

গর্ভধারণের জন্য হোম প্রেগনেন্সি টেস্ট করা যেতে পারে, অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা উচিত।

এটি যদি একক ঘটনা হয় এবং সময়ের সাথে স্বাভাবিক হয়, তেমন কোনো সমস্যা না-ও হতে পারে, কিন্তু যদি এটি দীর্ঘস্থায়ী বা পুনরাবৃত্তি হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url