সহবাসের পর মাসিক না হলে করণীয় জেনে নিন

 সহবাসের পর মাসিক না হলে এটি গর্ভধারণের সম্ভাবনার একটি লক্ষণ হতে পারে। তবে মাসিক না হওয়ার পেছনে অন্যান্য কারণও থাকতে পারে, যেমন মানসিক চাপ, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা বা শারীরিক অসুস্থতা। সঠিক পদক্ষেপ নিতে নিচের বিষয়গুলো অনুসরণ করুন:


গর্ভধারণ পরীক্ষা করুন

  • সহবাসের ১০-১৪ দিন পর গর্ভধারণের পরীক্ষা (প্রেগনেন্সি টেস্ট) করুন। এটি ঘরোয়া প্রেগনেন্সি কিট দিয়ে করা যায়, যা সহজেই ফার্মেসিতে পাওয়া যায়।
  • সকালে প্রথম মূত্র ব্যবহার করলে ফলাফল আরও নির্ভুল হয়।

মাসিক কখনো কখনো মানসিক চাপ, খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন, অতিরিক্ত পরিশ্রম বা ওজন পরিবর্তনের কারণে বিলম্বিত হতে পারে। ৭-১০ দিন অপেক্ষা করুন।


চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

যদি:

  • গর্ভধারণের পরীক্ষা পজিটিভ আসে।
  • মাসিক ২ সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে না হয়।
  • অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা (যেমন পেটে ব্যথা, অস্বস্তি) অনুভূত হয়।

তাহলে একজন গাইনোকোলজিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।


গর্ভনিরোধক ব্যবহার করেছেন কিনা তা বিবেচনা করুন

যদি আপনি সুরক্ষিত পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা কম। তবে কোনো পদ্ধতি ১০০% কার্যকর নয়, তাই গর্ভধারণ পরীক্ষা নিশ্চিত করুন।


নিয়মিত মাসিক না হওয়ার অন্যান্য কারণ

মাসিক অনিয়মিত হওয়ার অন্যান্য কারণগুলোও হতে পারে:

  • পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (PCOS)
  • থাইরয়েড সমস্যাগ্রস্ততা
  • ওজন বেশি বা কম হওয়া
  • মানসিক চাপ বা উদ্বেগ

প্রয়োজন হলে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে সঠিক কারণ নির্ণয় করুন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url