স্বপ্নদোষ না হলে কি বাবা হওয়া যায় না?
না, স্বপ্নদোষ না হওয়া বা স্বপ্নদোষ হওয়ার মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই গর্ভধারণ বা বাবা হওয়ার ক্ষেত্রে। স্বপ্নদোষ (যা সাধারণত রাতের সময় ঘটে) একটি শারীরিক প্রক্রিয়া, যেখানে পুরুষের শরীর থেকে বীর্য নিঃসৃত হয়, কিন্তু এটি গর্ভধারণের জন্য প্রয়োজনীয় বা অপরিহার্য কোনো প্রক্রিয়া নয়।
গর্ভধারণ এবং স্বপ্নদোষ:
গর্ভধারণের জন্য যা প্রয়োজন, তা হলো:
- স্বাভাবিক শুক্রাণু উৎপাদন: পুরুষের শরীরে শুক্রাণু তৈরি হওয়া দরকার। স্বপ্নদোষের মাধ্যমে বীর্য নিঃসৃত হলেও এটি সাধারণত কোনো শারীরিক সমস্যা বা শুক্রাণুর উৎপাদন বন্ধ হওয়ার লক্ষণ নয়। শুক্রাণু তৈরি হওয়া এবং সেটি শরীর থেকে বের হওয়া স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
- যৌন সম্পর্ক: গর্ভধারণের জন্য পুরুষের শুক্রাণু নারীটির ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হতে হবে, যা সাধারণত যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে ঘটে। স্বপ্নদোষের সাথে এটি কোনো সম্পর্ক রাখে না।
স্বপ্নদোষের উদ্দেশ্য:
স্বপ্নদোষ মূলত শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবে ঘটে, যখন পুরুষের শরীর শারীরিক উত্তেজনার ফলে বীর্য নিঃসৃত করে। এটি সাধারণত অতিরিক্ত যৌন উত্তেজনা বা দীর্ঘ সময়ের জন্য যৌন সম্পর্কের অভাবের কারণে হতে পারে। তবে, এটি কোনোভাবেই সন্তান ধারণের প্রক্রিয়া বা বাবা হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায় না।
উপসংহার:
স্বপ্নদোষ না হলে বা না ঘটলে, তা গর্ভধারণ বা বাবা হওয়া থেকে বিরত রাখে না। বাবা হওয়ার জন্য যা প্রয়োজন, তা হলো যথেষ্ট শুক্রাণু উৎপাদন এবং পুরুষের শুক্রাণুর ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হওয়া, যা যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে সম্ভব।