সহবাসের পরপরই যদি মাসিক শুরু হয়, তাহলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা সাধারণত কম থাকে। কারণ মাসিকের সময় শরীরের পুরাতন ডিম্বাণু এবং জরায়ুর আস্তরণ বের হয়ে আসে, যা গর্ভধারণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরি করতে অক্ষম।
তবে কিছু বিষয় মনে রাখা জরুরি:
গর্ভধারণের সময়সীমা
গর্ভধারণ সাধারণত ডিম্বস্ফোটন (ovulation) এর সময় ঘটে, যা মাসিক চক্রের মাঝামাঝি সময়ে হয়।
- মাসিক চক্র ২৮ দিনের হলে, ডিম্বস্ফোটন সাধারণত ১৪তম দিনে হয়।
- মাসিকের সময় এবং ডিম্বস্ফোটনের সময়ের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট ব্যবধান থাকে।
মাসিক চক্রের ভিন্নতা
সব মহিলার মাসিক চক্র একই রকম নয়।
- অনিয়মিত চক্র থাকলে ডিম্বস্ফোটন যেকোনো সময় হতে পারে।
- কিছু ক্ষেত্রে মাসিক চলাকালীন বা এর আগে শুক্রাণু শরীরে প্রবেশ করলে তা ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলিত হয়ে গর্ভধারণ ঘটাতে পারে, কারণ শুক্রাণু ৩-৫ দিন পর্যন্ত জীবিত থাকতে পারে।
বিশেষ পরিস্থিতি
যদি মাসিকের সময় ডিম্বস্ফোটন ঘটে এবং শুক্রাণু উপস্থিত থাকে, তাহলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা থেকে যায়। তবে এটি অত্যন্ত বিরল।
সঠিক জ্ঞান ও সুরক্ষা
যদি আপনি গর্ভধারণ এড়াতে চান বা এর সঠিক সময় পরিকল্পনা করতে চান, তবে সঠিক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করুন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
যদি আপনার কোনো শারীরিক উদ্বেগ থাকে, তাহলে একজন গাইনোকোলজিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করা ভালো।